Copy
͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏  ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏  ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏  ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏  ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏  ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏  ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏  ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏  ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏  ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ ͏ 

মানুষ খুবই লজিক্যাল প্রাণী। কিন্তু আবার আমাদের ইমোশান/ফিলিংস/মনের ইচ্ছাও আমাদের বাস্তবতাকে অনেকখানি প্রভাবিত করে। আপনার নিশ্চয়ই এমন অনেকবার হয়েছে যে, আপনি একটা কিছু কিনতে গেলেন কিন্তু অন্য একটা জিনিস অনেক ভালো লেগে গেলো এবং শেষে আপনি ওটা নিয়েই ফেললেন। হতে পারে সেটা আপনার পছন্দের ব্র্যান্ড বলে অথবা আপনার পছন্দের ব্যক্তিত্বদের মধ্যে কেউ এইটা পরে বলেই আপনি অনেকটা মনের দিক থেকে ভেবেই নিয়ে ফেলেন।

 

মজা হচ্ছে এইটা শুধু যে বাস্তব জীবনে আমাদের সাথে ফিজিক্যাল লাইফে হয় এমন না, এইটা আমাদের সাথে ডিজিটাল লাইফেও হয়। আমার সাথে এমন অনেকবার হয়েছে যে , আমি একটা অ্যাপ ইন্সটল করেছি কারণ ওই অ্যাপটার আইকন(icon) দেখতে সুন্দর।

 

এখানেই আসে হচ্ছে আমাদের এই " ইমোশনাল ডিজাইন"।

ইমোশনাল ডিজাইন কিঃ

ইমোশনাল ডিজাইন হচ্ছে একটি কন্সেপ্ট যেখানে ডিজাইন এর মাধ্যমে আপনার ইমোশানকে প্রভাবিত করে।

আমরা বাস্তব জীবনে যাই দেখি/শুনি/বুঝি তার উপর আমাদের মধ্যে একটা ইমোশন তৈরি হয়। এর কারণ হচ্ছে আমাদের ব্রেইন সিগন্যালিং। যখনই আমাদের কোন পজিটিভ/ নেগেটিভ এক্সপিরিয়েন্স হয়, তখনই আমাদের ব্রেইন একটা ইমোশন ক্রিয়েট করে নেয় নিজের মত করে। এবার সেটা ভিজ্যুয়ালি হতে পারে, শব্দের মাধ্যমে হতে পারে, অনুভূতি এর মাধ্যমে হতে পারে।

ইউএক্স ডিজাইনে ইমোশনাল ডিজাইন এর কাজ কি?

যেহেতু ইউএক্স ডিজাইন মূলত হচ্ছেই ইউজার কে নিয়ে, সেহেতু একটা প্রোডাক্ট এর সাকসেস হওয়ার পেছনে ইউজারের ইমোশনাল ডিসিশানের গুরুত্ব অনেক খানি।

আপনার ডিজাইনের ল্যাংগুয়েজ দিয়ে সাব-কনশাসলি আপনার ইউজারের বিহেভিয়ার এবং একশান কে প্রভাবিত করতে পারার উপরই সাক্সেস্ফুল ইউজার জার্নি নির্ভর করে।

 

একজন ডিজাইনার হিসেবে আপনার উচিত ইউজারের প্রয়োজন, প্রতিকূলতা, সমস্যা, আগ্রহ এবং প্রত্যেকটা ইন্টারেকশানই গুরুত্বের চোখে দেখা।

একটা ফাংশনাল এবং সঠিকভাবে কাজ করে এমন প্রোডাক্টই আমাদের গোল হওয়া উচিত না, বরং আমাদের ইউজারের রেসপন্স এগুলোর দিকে তাকাতে হবে।

কারণ ঐ যে, মানুষ লজিক দিয়ে ভাবলেও আমাদের মন আমাদের ডিসিশান কে অনেক খানি প্রভাবিত করে।

 

ডন নরম্যানের মতে ইমোশনাল ডিজাইনের তিনটি স্তর আছে।

১. ভাইসেরিয়াল লেভেল (Visceral level): প্রথম এবং সবচেয়ে নিচের স্তরটি হচ্ছে ভাইসেরিয়াল। এই লেভেল হচ্ছে মূলত প্রডাক্ট এর ফার্স্ট ইমপ্রেশন/ প্রথম দেখার মত।

ফার্স্ট ইমপ্রেশন মূলত ভিজুয়াল ডিজাইনের উপর বেইস করেই পড়ে। আপনার প্রোডাক্ট এর ভিজুয়াল এস্থেটিক যতখানি ভালো এবং যত কম হিজিবিজি করবেন, ফার্স্ট ইমপ্রেশন ততই ভালো হবে।

ভাইসেরিয়াল লেভেল এ মূলত ডিজাইন প্রিন্সিপালগুলোর প্রপার ইফেক্ট থাকে। আপনি চাইলেই আপনার প্রডাক্ট এর ফার্স্ট ইমপ্রেশন খুব দ্রুত লেভেল আপ করতে পারেন ডিজাইন প্রিন্সিপাল ফলো করে।একটি ভালো ভাইসেরিয়াল ডিজাইন আপনার ইউজারের মধ্যে প্রোডাক্ট নিয়ে একটা হ্যাপি এবং এক্সাইটেড ফিলিং ক্রিয়েট করতে পারে।

 

উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, আমি Google play store এ একটি note taking apps খুঁজছি এবং অনেকগুলো অ্যাপ এর মধ্যে আমার Notion এর আইকন এবং স্ক্রিনশট ভালো লেগেছে। এটা হতে পারে ফার্স্ট ইমপ্রেশন / ভাইসেরিয়াল লেভেল এর একটি উদাহরণ।

২. বিহেভিয়ারাল লেভেল (Behavioural level): এই স্তরটি হচ্ছে সেকেন্ড এবং সবচেয়ে ইন্টারঅ্যাকটিভ পার্ট। এই স্তরে মূলত ভাইসেরিয়াল লেভেল থেকে ড্রিভেন হয়ে আসে। প্রথম স্তরে প্রোডাক্ট নিয়ে এক্সাইটমেন্ট কাজ করলে এবার আপনি চেষ্টা করবেন সেটা এক্সপিরিয়েন্স করতে। এই স্তরে আপনার প্রডাক্ট কতটা ইউজেবল/ব্যবহারযোগ্য , প্রোডাক্ট এর পারফর্মেন্স, এবং প্রডাক্ট ইউজের সময় কতটা স্মুথ এইসব ম্যাটার করে।

 

এর উদাহরণ হতে পারে, Notion ইন্সটল করার পর এবার আমি Notion ইউজ করে দেখবো আমার দৈনন্দিন জীবনে এবং দেখবো এই Notion কতটা ইউজেবল/ আমার কাজ শেষ করার ক্ষেত্রে এইটার ভূমিকা আশানুরূপ কিনা!

৩. রিফলেক্টিভ লেভেল (Reflective level): এই লেভেল হচ্ছে সবার শেষ এবং সবচেয়ে ইম্পর্ট্যান্ট স্তর। এই স্তর হচ্ছে আপনার প্রডাক্ট নিয়ে সর্বশেষ লেভেলের ইনটেলেকচুয়াল চিন্তা।

যেমন, আচ্ছা আমি কি Apple notes থেকে Notion শিফট করবো কিনা অথবা Notion আমার জন্য ভ্যালু ফর মানি কিনা ইত্যাদি ইত্যাদি। এই লেভেল এর ডিরেক্ট কোন কানেকশান নেই ভাইসেরিয়াল লেভেল এর সাথে তবে বিহেভিয়ারাল লেভেল এর দ্বারা অনেক খানি প্রভাবিত।

এবার আসুন কিভাবে ইমোশান এড করবেন আপনার ডিজাইনে?

ডন নরম্যানের মতে অনেক গুলো জিনিস আছে আপনার ডিজাইন ল্যাংগুয়েজ দিয়ে ইমোশনে প্রভাবিত করার জন্যে। তার মধ্যে কিছু এই যে :

 

  ১. কালার সাইকোলজির মাধ্যমে আপনি কালারকে আপনার এডভান্টেজে ইউজ করতে পারেন। যেমন ধরুন, ব্যাংকিং এপ্লিকেশান গুলোতে আপনি ব্লু ইউজ করতে পারেন। যেহেতু নীল রং দিয়ে বিশ্বস্ততা বুঝানো হয় কালার সাইকোলোজিতে।

 ২. আপনার ডিজাইনে সাউন্ড ইন্টারেকশান নিয়ে আসতে পারেন। যেমন মেসেঞ্জারে কেউ আমাদের টেক্সট দিলে একটা নোটিফিকেশন আসে "টাং" করে। এই সাউন্ডটা এখন আমাদের মাথায় অনেকটা সেট হয়ে গেছে যে, এই সাউন্ডটা শুনলেও আমরা বুঝবো আমাদেরকে কেউ একজন মেসেজ/কিছু একটা পাঠিয়েছে।

 ৩. আপনার প্রোডাক্টে হিউমার ব্যবহার করতে পারেন। যেমন Mailchimp এ একটা বাদরকে মাস্কট হিসেবে ইউজ করে ডিজাইনে অনেক খানি হিউমার এড করা হয়েছে। এতে আপনিই অনেক খানি কমফোর্টেবল ফিল করবেন।

 ৪. ডিজাইনে ডিটেইলস এড করতে পারেন। ডিটেইলস এড করা বলতে যেখানে আমাদের মনোযোগ যায় না সেখানেও একটু সময় নিয়ে একটা পজিটিভ ইমোশন ক্রিয়েট করা যেতে পারে। যেমন chatgpt এক্সেস করা না গেলে ওদের error page টা অনেক খানি ক্রিয়েটিভ এবং ফান।

 ৫. UX writing copy তে এমন ভাবে লিখা যাতে মনে হয় আপনি ইউজারকে অনেকটা ইন্সপায়ার করছেন।যেমন “How old are you” বলে “ I am ___ years old.” এমনভাবে লিখা/ কোয়েশ্চান করা

আজকের জন্য এইটুকই। অনেকখানি ভালো থাকুন। নিচে আমি ২ টা ভিডিও এড করে দিয়েছি যাতে ইমোশনাল ডিজাইন নিয়ে আর অনেক খানি জানতে পারেন। নিউজলেটার কিন্তু আর্টিকেল না যে আপনি চাইলেও অনেকখানি লিখে ফেলতে পারেন। প্রত্যেকটা চিঠির উদ্দেশ্য হচ্ছে আপনার মনে কৌতূহল তৈরি করা এবং সেই কৌতূহল মেটানোর জন্য নিচের রিসোর্স অথবা গাইডলাইন ফলো করা/ আরো আরো জেনে নেয়া।

 

ভালো থাকুন, টাডা •ᴗ•

📍️ Curated video/podcasts

📚 Book recommendation

By Donald A. Norman

A great insight into emotional nature of brain bringing forth the irrational mind and how humans react and influenced by different things around them.

✂️ Plugins of this week

By @zeta

To solve for UX copy, we at Zeta built Ghost UXWriter plugin to make UX copy accessible and humane.







This email was sent to <<Email Address>>
why did I get this?    unsubscribe from this list    update subscription preferences
Uxchithi · Basurhat · Noakhali 1200 · Bangladesh

Email Marketing Powered by Mailchimp